কাক পরিচিতি
কাক
ইংরেজি নাম: Crow
বৈজ্ঞানিক নাম:Corvus brachyrhynchos
Corvidae গোত্রের অন্তর্গত
একটি প্রজাতি। ১৭৫৮ খ্রিষ্টাব্দে এই গণের নামকরণ করেছিলেন Linnaeus। এটি Corvidae পরিবারের একটি
প্রজাতি। আমেরিকা, আফ্রিকা,
ইউরেশিয়া, অষ্ট্রেলিয়ার অধিকাংশ দেশে কাক দেখা
যায়।
কাক দেখতে অনেকটা কবুতরের মতোই। এর দেহের
রঙ কালো, তবে গলার রঙ ধূসর। এদের পা ও ঠোঁট খুবই সক্রিয়। এদের দলবদ্ধভাবে থাকতে
দেখা যায়। একটি কাকের বাচ্চাকে আঘাত করা হলে দলবদ্ধভাবে অন্যান্যা কাকেরা তাড়া
করে। বুদ্ধিমত্তার জন্য কাকের সুনাম আছে।
কাক তার কর্কশ আওয়াজের জন্য বিখ্যাত। এদের
কখনও উচ্চস্বরে কা-কা বা কখনও চাপা স্বরে ক-ক আওয়াজ করতে শোনা যায়।
কাক সর্বভূক। অন্য পাখি, ছোট ব্যাঙ, কেঁচো,
ফল, কীটপতঙ্গ এমনকি নোংরা আবর্জনাও এরা খায়।
স্ত্রী কাক ও পুরুষ কাক তেমনভাবে আলাদা করা
যায় না। এরা সাধারণত ২০-৩০ বছর বাঁচে। কিছু কিছু আমেরিকান কাক প্রায় ৫৯ বছর বাঁচে।
এরা গাছের ডালে, ল্যাম্পপোস্টের উপর খড়কুটো, ন্যাকড়া, কাঠি প্রভৃতি দিয়ে বাসা
বানায়।
সারা পৃথিবী জুড়ে নানা ধরনের কাক দেখা যায়। আকার ও রঙের বিচারে কাককে স্থানীয়ভাবে নানা নামে ডাকা হয়। যেমন― সাধারণ কাক, দাঁড় কাক, পাহাড়ি কাক।
সারা পৃথিবী জুড়ে নানা ধরনের কাক দেখা যায়। আকার ও রঙের বিচারে কাককে স্থানীয়ভাবে নানা নামে ডাকা হয়। যেমন― সাধারণ কাক, দাঁড় কাক, পাহাড়ি কাক।
সাধারণ কাক
ইংরেজি : House Crow, Colombo Crow
বৈজ্ঞানিক নাম : Corvus splendens। ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে এর নামকরণ করেছিলেন Vieillot।
ইংরেজি : House Crow, Colombo Crow
বৈজ্ঞানিক নাম : Corvus splendens। ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে এর নামকরণ করেছিলেন Vieillot।
Corvidae গোত্রের
অন্তর্গত Corvus গণের সাধারণ
পাখি। এই জাতীয় কাক খুব বেশি দেখা যায়। এদের আদিবাস এশিয়া। ভারত উপমহাদেশ এবং
তৎসংলগ্ন অঞ্চলে এই কাক প্রচুর দেখা যায়। তবে পৃথিবীর অন্যান্য গ্রীষ্মপ্রধান
অঞ্চলে এই কাক অল্পবিস্তার দেখা যায়। সাধারণত এরা একাকী খাবারের সন্ধানে ঘুরে
বেড়ায়। তবে এদের ভিতরে দলগত ঐক্য প্রবল। কোনো কাক মারা গেলে বা আহত হলে, এরা
দলগতভাবে শোক প্রকাশ করে। এবং এলাকার সকল কাল একত্রিত হয়।
এদের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার। চোখের নিচ থেকে গলা পর্যন্ত কালো নরম পালকে ঢাকা। মাথার পিছন এবং পাখার উপরিভাগ পর্যন্ত ধূসর কালো। পাখার রঙ কালো।
এদের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার। চোখের নিচ থেকে গলা পর্যন্ত কালো নরম পালকে ঢাকা। মাথার পিছন এবং পাখার উপরিভাগ পর্যন্ত ধূসর কালো। পাখার রঙ কালো।
এরা কীটপতঙ্গ, টিকটিকি জাতীয় ছোট সরীসৃপ
জাতীয় প্রাণী, পাখির ডিম, শস্য কণা ইত্যাদি আহার করে। এছাড়া মৃত পশুর মাংশ আহার
করে। মানুষের আবাসস্থালে থাকার কারণে মানুষের পরিত্যাক্ত সকল ধরনের খাবারই এরা
খায়।
এরা খড়-কুটো দিয়ে অগোছালোভাবে বাসা তৈরি
করে। সাধারণত উঁচু ডালে বা কোনো উঁচু স্থানে ডিম পারে। তবে কাকের বাসায় নানা রকমের
দ্রব্য পাওয়া যায়। এক সাথে স্ত্রীপাখি ৩-৬টা ডিম পাড়ে। বাসায় ডিম থাকা অবস্থায় এরা
অত্যন্ত হিংস্র হয়ে থাকে। এর বাসা কাছা কাছি কেউ গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করে।
এদের ডাক কা-কা। কর্কশ শব্দে ডাকার জন্য
এদের দুর্নাম আছে।
দাঁড় কাক
ইংরেজি : Jungle Crow
বৈজ্ঞানিক নাম : Corvus macrorhynchos। ১৮২৭ খ্রিষ্টাব্দে এর নামকরণ করেছিলেন Wagler।
ইংরেজি : Jungle Crow
বৈজ্ঞানিক নাম : Corvus macrorhynchos। ১৮২৭ খ্রিষ্টাব্দে এর নামকরণ করেছিলেন Wagler।
Corvidae গোত্রের
অন্তর্গত Corvus গণের সাধারণ
পাখি। এই জাতীয় কাক খুব বেশি দেখা যায়। এদের আদিবাস ইউরেশিয়া।
এরা আকারে সাধারণ কাকের চেয়ে বড়। গায়ের রঙ
কুচকুচে কালো। জঙ্গলে এদের বেশি দেখা যায়। মানুষের আবাসস্থলের কাছে এরা আসে মূলত
খাবারের সন্ধানে। এরা কীটপতঙ্গ, ছোটো সরীসৃপ, শস্যকণা, মানুষের পরিত্যাক্ত খাবার
ইত্যাদি খায়।
এরা গাছের উঁচু ডালে খড়কুটো দিয়ে বাসা তৈরি
করে। এক সাথে স্ত্রীকাক ৩-৫টি ডিম পাড়ে। অন্যান্য আচরণের দিক থেকে এরা সাধারণ
কাকের মতোই। এদের কা-কা ধ্বনি সাধারণ কাকের ধ্বনির চেয়ে বেশ গম্ভীর।
No comments